খাতমে নুবুওয়্যাত আন্দোলনের গুরুত্ব
-- আল্লামা ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী।
খাতমে নুবুয়্যাত আন্দোলনের গুরুত্ব উপলব্ধি করার জন্য এ প্রসঙ্গে ছোট একটি উদাহরণ পেশ করছি। রাসুলে কারীম (সা) এর জমানায় মাদিনাহ মুনাওয়ারার ১০টি বছরে سرية_ غزوة_ جيوش_ بعوس সব মিলিয়ে জিহাদ সংগঠিত হয়েছিল প্রায় ৮০ টির মত। এই যুদ্ধগুলোতে ইসলামের পক্ষে এবং বিপক্ষে মোট মানুষ নিহত হয়েছে ১০১৮ জন। সিদ্দিকে আকবার ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর (রাঃ) এর জামানায় ইয়ামানের ইয়ামামায় মুসায়লামা যখন মিথ্যা নুবুওয়্যাত দাবী করেছিল তখন এই কুখ্যাত কাফের, মিথ্যা নুবুওয়্যাত এর দাবীদারকে হত্যা করার জন্য হযরত খালেদ সাইফুল্লাহ (রা) এর নেতৃত্বে তিনি ৩০ হাজার সৈন্য প্রেরন করেছিলেন। ইতিহাস সাক্ষী, সেই এক দিনের যুদ্ধে ২৪০০ জন সাহাবী শাহাদাত বরন করেছিলেন। তন্মধ্যে ৭০০ জন সাহাবী ছিলেন কুরআনের হাফেজ। ইসলামের সুচনালগ্নে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে ১০টি বছরে ইসলামের পক্ষে এবং বিপক্ষে নিহত হয়েছিল মাত্র ১০১৮ জন। আর হযরত আবু বকর রাঃ এর জামানায় শুধুমাত্র এক দিনে ইয়ামামার যুদ্ধে মিথ্যা নুবুওয়্যাত এর দাবীদারকে হত্যা করতে গিয়ে শাহাদাত বরন করেছিলেন ২৪০০ জন সাহাবী। তন্মধ্যে ৭০০ জন ছিলেন কুরআনের হাফেজ। এই একটি দৃষ্টি কোন থেকেই তো স্পষ্ট বুঝা যায়, খাতমে নুবুওয়্যাত এর আন্দোলন কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ। তাই বলা যায় খাতমে নুবুয়্যাত এর আন্দোলন, সবচেয়ে বড় আন্দোলন। খাতমে নুবুওয়্যাত এর জিহাদ, সবচেয়ে বড় জিহাদ। এটা বছরে একবার করার পালন করার বিষয় নয়। প্রতিটি বছরের, প্রতিটি মাসের, প্রতিটি সপ্তাহের প্রত্যক দিন দাবী আদায়ের পূর্ব পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে, চলতেই থাকবে ইনশাআল্লাহ ।